আমি কতটা ব্যার্থ
বাপ্পি কুমার দাস।

জীবনে চলার পথে মানুষ অনেক ভুল দ্বারা আক্রান্ত হয়। অনেক সময় মানুষ নিজের ভুল বুঝতে পেরে সেটা শুদ্রে নেওয়ার চেষ্টা করে, কোন সময় ভুলের পাশকাটিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে ,বেশির ভাগ সময় নিজের ভুল অন্যর উপরে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।

এই করোনা পরিস্থিতির মধ্যে নিজের পরিবার কে বুঝতে কতটা ব্যার্থ আমি সেটা বলার চেষ্টা করছি।

যেমন ধরুন আমাদের কথা সরকার, রাষ্ট্র, প্রশাসন, ডাক্তার ইত্যাদি ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান কে দোষ দিয়ে করোনা থেকে বাচার চেষ্টা করছি আমার।

সরকারের সঠিক, ভুল সিদ্ধান্তের সমালোচনা আমি পরে করব।

ধরুন আমার পরিবারে কোন সদস্য করোনা আক্রান্ত হলো, এটার সাফার কে করবে?
আমি করব, আমার পরিবার করবে, প্রতিবেশী করবে, আত্মীয় স্বজনরা করবে।

দেখুন এখানে সরকারে বা প্রশাসনের কথা কোন ভাবে আগে থেকে আসছে না।

আমারা সব সময় নিজেদের অপরাধ চাপা দিতে গিয়ে সরকারের উপর দোষ চাপায় এতে কাদের ক্ষতি হয়? এতটুকু বুঝার ক্ষমতা কি আমাদের নাই??

আমার ব্যার্থতার কথা বলি,

আমি একজন মালয়েশিয়া প্রবাসী। দেশে আমার পরিবারে তিন জন সদস্য আছেন, বাবা, মা ও ঠাকুর মা। এই তিন জনের সংসার আমার। সংসার পরিচালনা করার জন্য আমার বাবার কোন উপাজন করার প্রযোজন হয় না। সংসারের বিশেষ কাজের জন্য ও তাকে দায়িত্ব নিয়ে বাহিরে যাওয়ার দরকার হয় না।

সংসারে নিত্য প্রযোজনীয় জিনিস পত্রের জন্য যদি যেতে চায়,বর্তমান পরিবেশ মাসে ২ বার তার জন্য যথেষ্ট।

কিন্তু না আমার বাবা কে আমি এতটা সচেতন করতে পেরেছি যে বর্তমান পরিবেশও বাজারে দোকান পাট বন্ধ থাকলেও ভুল করে প্রতিদিন দিনে ৩/৪ বার চলে জান।
আমাদের দৃষ্টি কোনে এটাও সরকারের দোষ!

বাবাকে যদি বলা হয় কি দরকার এত বাজারে যাওয়ার, উত্তর ঃ আমরা গ্রামের মানুষ আমাদের করোনা হবে না, দেখো না আমাদের তেমন কোন অসুখ হয় না।

এখানোও আমারা সরকারের দোষ দেখি।

অথচ আমি আমার পরিবার কে সামান্য পরিমাণ সচেতন করতে পারলাম না, আমি নিজে ব্যার্থ হয়ে সব দোষ সরকার / রাষ্ট্রের উপর চাপিয়ে দিয়ে নিজে মহা পন্ডিত ভাবা শুরু করি কারন আমি সরকারের উপর দোষ চাপিয়ে দিয়ে খুব শক্তিশালী হয়ে গেছি।

সর্বশেষ বলি নিজের সুস্থতা, ভালো থাকা,অন্যকে ভালো রাখা জন্য নিজের ভিতরে লুকিয়ে থাকা পুরুষ টাকে দায়িত্ব বান তৈরি করতে হবে।